শনিবার ৭০ হাজার ভূমিহীন ঘর পাবে

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ৬৯ হাজার ৯০৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করা হবে।

শনিবার ৭০ হাজার ভূমিহীন ঘর পাবে

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ৬৯ হাজার ৯০৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করা হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় এ গৃহপ্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন হবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ থেকেই সারাদেশে এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জমি ও গৃহপ্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি দেশব্যাপী প্রচারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সভাকক্ষে (দ্বিতীয় তলা) এই ব্রিফিংয়ে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

এদিকে, আজ বুধবার সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত ও নদীভাঙন কবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না- এ লক্ষ্য সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। পর্যায়ক্রমে আট লাখ ৮৫ হাজার ৫২২টি পরিবারকে গৃহনির্মাণ ও ব্যারাকের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।