সেজান জুসের মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রম পরিদর্শক নেছার আহমেদ মামলাটি দায়ের করেন।

সেজান জুসের মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রম পরিদর্শক নেছার আহমেদ মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে গত ৩০ জুন শ্রম আইনের ৯টি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী শ্রম পরিদর্শক সৈকত মাহমুদ। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপমহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য শ্রম আদালতে আরও কয়েকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

সহকারী শ্রম পরিদর্শক সৈকত মাহমুদের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, করোনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবাণুনাশক (সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক স্প্রে) ব্যবহার না করা, শিশুশ্রমিক নিয়োগ, কারখানার পূর্ব দিকের ছয়তলার কক্ষে নির্মল বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা, পরিদর্শক কর্তৃক কাজের সময়সূচির নোটিশ অনুমোদন না করা, কার্যকর সেফটি কমিটি না থাকা, যন্ত্রপাতি স্থাপনের ক্ষেত্রে দেয়াল থেকে দেয়ালের দূরত্ব এক মিটার না রাখা, অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বর্তমান কারখানার মেশিন আউট-লেট প্ল্যানের সামঞ্জস্য না থাকা, বর্তমান শ্রমিক সংখ্যানুপাতে লাইসেন্স ক্যাটারি সঠিক না থাকা এবং ভবনের ভেতরে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকার বিষয়।

গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তার চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস