সৌদি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফিরলেন আরও এক নারী

ঢাকার শাহজালাল আন্তজর্তাকি বিমানবন্দরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাফেরার করছিলো এক নারী। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি কোন কিছুর সদুত্তর দিতে পারছিলেন না। হাতে থাকা কাগজপত্র দেখে বোঝা গেল, তিনি সৌদি থেকে নির্যাতিত হয়ে ফেরা এক নারী।

সৌদি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফিরলেন আরও এক নারী
ছবি প্রতিকী

ঢাকার শাহজালাল আন্তজর্তাকি বিমানবন্দরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাফেরার করছিলো এক নারী। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি কোন কিছুর সদুত্তর দিতে পারছিলেন না। হাতে থাকা কাগজপত্র দেখে বোঝা গেল, তিনি সৌদি থেকে নির্যাতিত হয়ে ফেরা এক নারী।

সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি-৮০২ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া একটায় তিনি ঢাকায় এসেছেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে তাকে দেখভালের জন্য ব্রাকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

ব্র্যাকের সাইকো সোসাল কাউন্সিলর নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে তাকে মানসিক সেবা দেন। এরপর পাসপোর্ট দেখে ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তার বাড়ি নওগাঁয়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি M/S Maxim Trade & Co(RL-809) তাকে সৌদি আরবের জেদ্দা পাঠায়। 

নির্যাতিতার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সে জানায়, প্রথম ছয়মাস কিছুটা ভালো থাকলেও পরবর্তীতে নিয়োগকর্তা নিপীড়ন করতো। কিন্তু এক পর্যায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানা যায় সৌদিতে তিন মাস জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে ট্রাভেল পাশের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। 

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, নির্যাতিতার মতো পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক নারীই দেশে ফিরছে। তবে তাদের সংখ্যা সঠিক করে বলা সম্ভব নয়। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও পুলিশ মাঝে মধ্যেই এমন নারীদের বিমানবন্দরে পেয়ে আমাদের জানায়। গত দুই বছরে ৬৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে ফেরত আসা  অভিবাসীকে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সাইকো সোসাল কাউন্সিলরদের মাধ্যমে যথাযথ সেবা দিয়ে নিরাপদে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই ৬৮ জনের মধ্যে ৬১ জনই নারী গৃহকর্মী এবং ৭ জন পুরুষ। 

শুধু যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফিরছে তাই নয়, গত পাঁচ বছরে প্রায় ৫০০ নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে বিভিন্ন দেশ থেকে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ জনেরই মরদেহ এসেছে সৌদি আরব থেকে যার মধ্যে প্রায় ৬০ জনই আত্মহত্যা করেছেন।