হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তিতে ইসরাইলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে
সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করার হুমকি দেয়ার পর হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি সম্পর্কে অবগত ইহুদিবাদীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে লেবাননের হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি, হিজবুল্লাহর দিকে আরব লীগের প্রত্যাবর্তন, লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন কর্তৃক ইহুদিবাদীদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংসসহ হিজবুল্লাহ সংক্রান্ত কয়েকটি খবরের দিকে পার্সটুডের পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান গণহত্যার শিকার গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন। তিনি লেবাননের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের মূর্খ আচরণের ব্যাপারে তেল আবিবকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ইহুদিবাদীরা যুদ্ধের বিস্তৃতি চাইলে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে দাঁতভাঙা জবাব পাবে।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইসরাইলের রিজার্ভ ফোর্সের জেনারেল রযাম আমিনাখ। তিনি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যার দিক দিয়ে হিজবুল্লাহ এখন বিশ্বের ৫ বৃহৎ ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির একটিতে পরিণত হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের হিব্রু ভাষার দৈনিক ‘ইয়াদিওত আহারোনোত’ এক সংবাদ বিশ্লেষণে বলেছে, ইহুদিবাদী সেনা ও রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা মনে করছেন, ইসরাইল যদি এখনই গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তাহলে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে।
আন-নাশরা বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে সর্বসাম্প্রতিক অভিযানের খবর প্রকাশ করেছে। প্রতিরোধ সংগঠনটি বলেছে, তাদের যোদ্ধারা লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপিত ইসরাইলের দু’টি যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের হিব্রু ভাষার দৈনিক ‘ইয়াদিওত আহারোনোত’ আরেক সংবাদ বিশ্লেষণে বলেছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর কাছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক সরঞ্জাম ও অত্যন্ত বিপজ্জনক সামরিক প্রযুক্তি রয়েছে। লেবানন সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলে নির্বিঘ্নে শত শত ড্রোনের ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে, ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ড্রোন মোকাবিলা করতে সক্ষম নয়।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা’ থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব লীগ। এই লীগের সহকারী মহাসচিব হোসাম জাকি বলেছেন, “সদস্য রাষ্ট্রগুলো হিজবুল্লাহকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” একইসঙ্গে আরব লীগ হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।