'অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই'
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বলেন, প্রয়োজনীয় দক্ষকর্মী সরবরাহের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এখন মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে দেশের কর্মক্ষম জনবলকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বলেন, প্রয়োজনীয় দক্ষকর্মী সরবরাহের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এখন মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে দেশের কর্মক্ষম জনবলকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
রোববার বিনিয়োগ, দেশীয় বাজার উন্নয়ন, রপ্তানি বৈচিত্রকরণের লক্ষ্যে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরীর জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, উৎপাদন ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতিবছর প্রায় দশ লাখ লোকের চাহিদা আছে। ট্রেনিং একাডেমি সহ সকল সেক্টরে যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরীতে পাবলিক প্রাইভেট সমন্বিতভাবে এগোতে হবে।
এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেজের অভাব, কারিগরি শিক্ষা মূল্যায়নে সীমাবদ্ধতা, মাস্টারট্রেনারের অভাবসহ বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। এফবিসিসিআই সহ সকল সেক্টরকে সমন্বিত হয়ে। খাতভিক্তিক গ্যাপ উত্তরণে কাজ করতে হবে। এতে দেশে বিদেশে সর্বক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডিশন হবে, প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষকর্মীর পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী। এ জন্য আমাদের নীডবেজ স্পেশালাইজেশন দরকার। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ খাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা যেতে পারে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করতে যথাযথ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মানসম্মত ট্রেইনার নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসার সাথে একাডেমিয়ার যোগাযোগ নেই। এলডিসি গ্রাজুয়েশনসহ সরকারের লক্ষ্যগুলো অর্জনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত জরুরী। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প, বাণিজ্য ও অফিস ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যাপক হারে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ছিলেন সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। এছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য পরিচালরা, বিভিন্ন চেম্বার এসোসিয়েশনের সভাপতিসহ জেনারেল বডির সদস্যরা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ন মতামত তুলে ধরেন।