ঢাকায় ফিরছে মানুষ, ফেরিঘাটে ভিড়

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎযাপন শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আজ রোববার সকাল থেকে এসব মানুষের ভিড় বাড়ছে দেশের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট রুটে। তবে বেশিরভাগ মানুষের মাঝে নেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা।

ঢাকায় ফিরছে মানুষ, ফেরিঘাটে ভিড়

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎযাপন শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আজ রোববার সকাল থেকে এসব মানুষের ভিড় বাড়ছে দেশের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট রুটে। তবে বেশিরভাগ মানুষের মাঝে নেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা। 

অপর দিকে এখনো রাজধানী থেকে অনেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছুটছেন। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এবং মুন্সিগুঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে এখনো ভিড় দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ছুটে চলা অধিকাংশ মানুষ ঈদের ছুটিতে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন।

আজ রোববার সকালে পাটুরিয়া এবং শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে যেমন রাজধানীগামী মানুষের ভিড় ধীরে ধীরে বাড়ছে। অন্যদিকে নদী পাড়ি দিয়ে অনেক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ছুটছেন।

ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শরিফ মিনা ঈদের কয়েকদিন আগে খুলনায় গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে যান স্বপরিবারে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষ করে আজ সকালেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পরিবার নিয়ে। বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রথমে ফুলতলা থেকে লোকাল বাসে করে নড়াইলের কালনা ফেরিঘাটে আসেন স্বপরিবারে। সেখান থেকে ঘাট পার হয়ে আবার ভাটিয়াপাড়া মোড় রিকশায়, সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আসেন তিনি। ঈদ শেষে আজ থেকে অফিস খুলছে। তাই খুব সকালেই আবার পরিবার নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়েছি। পথে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরিঘাটে এসে মনে হলো, মানুষজন আবারও ঢাকামুখী হচ্ছেন।’

বেসরকারি চাকুরিজীবী অহিদুজ্জামান প্রিন্সও তার পরিবার নিয়ে একইভাবে ঢাকায় ফিরছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঈদের তিন দিন আগে ঢাকা থেকে রওনা করে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল। ৬ ঘণ্টার রাস্তা আসতে সময় লেগেছিল এক দিন। এখন কর্মজীবী মানুষ আবারও ঢাকামুখী হবেন। তাই আবার ঝক্কি–ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই রওনা করেছি।’

অন্যদিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কেউ ঈদের ছুটিতে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আলাপকালে  বলেন, ‘ বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, লকডাউন বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি যদি আরো অবণতি হয় সেই আশঙ্কা থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে রেখে আসার জন্য গ্রামে যাচ্ছেন তারা। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ প্রকৌশল নিউজকে বলেন, ‘ঈদে বাড়ি পর্যন্ত যাইনি। মানুষের সেবা দিতেই এখনো কর্মস্থলে আছি।’ তিনি বলেন, ঈদ–পরবর্তী যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ১৬টি ফেরির সব কটি সচল রাখা হয়েছে। ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানীর দিকে ছুটতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনও বাড়ছে। পাশাপাশি এখনো পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে মানুষের ভিড় আছে।