দাবি না মানলে ক্লাস বর্জনের হুশিয়ারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটুর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটুর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সেই সাথে, বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত কেউ যাতে আর একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে না পারে সেটা ২৯ মে’র মধ্যে কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ না নিলে ৩০ মে থেকে সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১৭ ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ মোয়াজ।
তিনি বলেন, আশিকুল ইসলাম বিটুর সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোনো শর্তেই আমরা ইচ্ছুক নই– এই মর্মে বুয়েট প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি উত্থাপন করি। প্রশাসন দ্রুততম সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, আশিকুল ইসলাম বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং কোর্সগুলোতে তার অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
অবিলম্বে আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বুয়েট প্রশাসন আপিল করবে বলেও আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়।
মোয়াজ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ২৯ মে’র মধ্যে বুয়েট প্রশাসন আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারলে, আপিল করার প্রতিশ্রুতি একটি গ্রহণযোগ্য সময়সীমাসহ অফিসিয়াল বিবৃতি/নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
দাবি মানা হলে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানান তারা।
২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর ভোররাতে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে। এর পরপরই ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের এই প্রধান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
প্রকৌশল নিউজ/এসআই