নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে করোনা : কাদের
ঈদের পর কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কাগজে-কলমে লকডাউন চলছে দেশে। এরই মাঝে খবর এসেছে আরো এক সপ্তাহ বাড়তে পারে সেই লকডাউন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে মানুষের গ্রামের বাড়ি বা জেলা শহরে যাওয়া যেমন আটকানো সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে একইভাবে হয়তবা নিয়ন্ত্রণহীন থাকবে জনস্রোত। আর তাই সরকার দেশবাসীকে করোনা নিয়ে আরো বেশি সতর্ক থাকতে বলছে।
এরই মাঝে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ঈদের পর কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।
আজ শনিবার সকালে সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাকি এক যুগ ধরে ঈদ নেই, তাদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আপনারা কি ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিলেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে মা–বাবা মারা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। দাফন-কাফনের শেষ সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। ঈদের নামাজ আদায়ের সময়ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কোনো নজির স্থাপন করেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১৬ ও ১৭ মে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপ-কমিটি তথ্য ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনী করবে। ১৬ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
১৭ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হবে। ১৭ মে বেলা তিনটায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।