পরীমণিকে কোলে নিয়ে বোট ক্লাব থেকে বের হন জিমি
বাংলা সিনেমার গ্লামার গার্ল খ্যাত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৫ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এরপরই ঢাকা বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বাংলা সিনেমার গ্লামার গার্ল খ্যাত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৫ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এরপরই ঢাকা বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৯ জুন দিবাগত রাত ২টায়, পরীমণিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে নিয়ে বের হন জিমি ও একজন সিকিউরিটি গার্ড। পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন তার বোন বনি। তাদের পেছনে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন অমি। সবাইকে ধমকের ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে অমিকে।
৯ জুন রাত সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়। ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে অমির কালো গাড়ি থেকে সামনের দরজা দিয়ে নামেন পরীমণি। এরপরই গাড়ি থেকে বের হন বোট ক্লাবের সদস্য অমি, পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, তার বোন বনি।
ক্লাবের বাইরের ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমণি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস, সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরা ছিলেন। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।
রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের চারজনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ।
বনানী থানার বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বনানী থানায় যান পরীমণি। সেখানে ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন পরীমণি। তবে ডিউটি অফিসার তার কথা বুঝতে না পেরে তাকে পুলিশের একটি গাড়িতে এভার কেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস