বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি তদন্তের নথি চায় হাইকোর্ট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি তদন্তের নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদককে তা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি তদন্তের নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদককে তা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ৯ই মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
অভিযুক্ত সিবিএ নেতারা হলেন, বিমানের তখনকার সিবিএ সভাপতি মসিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, ইউনুস খান, সাধারণ সম্পাদক মনতাসার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক হারুনর রশিদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল বারি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফিরোজুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান, নারী বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কায়সার আহেমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল জব্বার ও আবদুল আজিজ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ফৌজিয়া আখতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্দেশ অনুযায়ী দুদক আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্যতার বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো তথ্য নেই। যে কারণে সংশ্লিষ্ট তদন্তের নথি আদালতে দাখিলের আবেদন জানালে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৭ সিবিএ নেতার বক্তব্য ও কমিশনের সিদ্ধান্তসহ পূর্ণাঙ্গ নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছয় বছর আগে দুদকের নোটিশে সাড়া না দেয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।’
২০১৪ সালে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে এই ১৭ সিবিএ নেতাকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু দুদকের তলবে হাজির না হয়ে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে প্রকাশিত সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এস