বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যাদের টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস অথবা এক বছর হয়ে গেছে প্রথমে তারাই করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। যেহেতু এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যাদের টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস অথবা এক বছর হয়ে গেছে প্রথমে তারাই করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। যেহেতু এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সদর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি, ঢেউটিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) প্রতিষ্ঠানে রোববার সকালে বুস্টার টিকার কার্যক্রম শুরু করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে সম্মুখসারির ব্যক্তি হিসেবে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকাগ্রহীতাদের সংখ্যা বাড়তে থাকবো।
দেশে করোনার টিকার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে জাহিদ মালেক জানান, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ফাইজারের দুই কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সামনের মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। পর্যায়ক্রমে আরও তিন কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
জাহিদ মালেক আরও জানান, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা ও প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ওমিক্রন নিয়ে জাহিদ মালেক জানান, সারাবিশ্বে এখন করোনার ওমিক্রন ধরন ছড়াচ্ছে। ওমিক্রন থেকে রেহাই পেতে সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক জানান, টিকা নিলে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলে সবাইকে টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এসময় উপস্থিত ছিলেন।