বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’
গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ ছেড় পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে 'রেজিস্টান্স উইক' কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে রোডমার্চ কর্মসূচি করে আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ যারা শিক্ষার্থীদের গণ অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল দ্রুত তাদের বিচার নিশ্চিতের দাবি তোলেন তারা।
সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্টান্স উইক’ নামক নতুন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রথম দিনে চার দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী। এরপর মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা।
দাবিগুলো হলো-
ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার থেকে দেশব্যাপী স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের দোসরদের বিরুদ্ধে গণহত্যাযজ্ঞের দায়ে মামলা দেবার আহ্বান জানান তারা।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত আমলা ও সচিবদের পদত্যাগের দাবিও জানান সমন্বয়করা। বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
জুলাই-আগস্টব্যাপী আহত ও নিহতদের সঠিক তালিকা প্রস্তুতে সবার সহযোগিতার আহ্বানও জানান তারা।