ভারত সরকারের দামেই ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারত সরকার সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে যে দামে ভ্যাকসিন নিচ্ছে বাংলাদেশও একই দামে পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি। তিনি বলেছেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশই সবচেয়ে কম দামে ভ্যাকসিন পাচ্ছে। ভারত সরকার এখন তিন ডলার মূল্যে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। বাংলাদেশও হয়তো এই দামে পাবে। যদিও চুক্তিতে চার ডলার উল্লেখ আছে। এছাড়া যদি চার ডলারের বেশি দামে ভারত নেয় তবে বাংলাদেশকে কিন্তু বেশি দিতে হবে না। চুক্তিতে তাই বলা আছে।’

ভারত সরকারের দামেই ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারত সরকার সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে যে দামে ভ্যাকসিন নিচ্ছে বাংলাদেশও একই দামে পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি। তিনি বলেছেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশই সবচেয়ে কম দামে ভ্যাকসিন পাচ্ছে। ভারত সরকার এখন তিন ডলার মূল্যে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। বাংলাদেশও হয়তো এই দামে পাবে। যদিও চুক্তিতে চার ডলার উল্লেখ আছে। এছাড়া যদি চার ডলারের বেশি দামে ভারত নেয় তবে বাংলাদেশকে কিন্তু বেশি দিতে হবে না। চুক্তিতে তাই বলা আছে।’

গতকাল রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

পাপন বলেন, ‘সিরাম থেকে বেক্সিমকো কোনো কমিশন পাবে না। বেক্সিমকো সরকারকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। সরকার থেকে কমিশন নেবে। তবে ভ্যাকসিন এনে বেক্সিমকো লাভবান হচ্ছে এটি বলা যাবে না, ক্ষতিও হতে পারে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে তিন কোটি ডোজ টিকা বুঝিয়ে দিতে হবে। সরকার এই তিন কোটির মূল্য পরিশোধ করবে। কিন্তু যে টিকা নষ্ট হবে বা বাতিল হবে তার দায় বেক্সিমকো নেবে।’

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসছে আজ (সোমবার)। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে এই টিকা আসছে। বিমানবন্দর থেকে টিকা নিয়ে রাখা হবে টঙ্গিতে বেক্সিমকোর ওয়্যার হাউজে। এরপর ল্যাব টেস্টের পর স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সময়মতো দেশের ৬৪ জেলায় পৌঁছে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘অক্সফোর্ডের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব একটা নেই। টিকা নেয়ার পর কোথাও কেউ হাসপাতালে গেছে এমন তথ্য নেই। তবে যেহেতু সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে তাই কারো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সেই দায় সরকার নেবে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা রয়েছে।’

অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে এই ভ্যাকসিন নিতে হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগামী বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে টিকাদান শুরু হবে। এদিন আরো ২৪ জনকে টিকা দেয়া হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে করোনা টিকা দেয়া হবে। ৮ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে টিকাদান শুরু হবে।

প্রকৌশল নিউজ/এস/সু