মিয়ানমার নিজেই সমস্যা সমাধান করবে

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান প্রশ্নে অবশেষে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিভিন্ন সঙ্কটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কট্টরভাবে সহায়কের ভুমিকায় থাকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। মিয়ানমার নিজেরাই সমস্যার সমাধান করতে পারবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

মিয়ানমার নিজেই সমস্যা সমাধান করবে

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান প্রশ্নে অবশেষে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিভিন্ন সঙ্কটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কট্টরভাবে সহায়কের ভুমিকায় থাকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। মিয়ানমার নিজেরাই সমস্যার সমাধান করতে পারবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমারে কী ঘটছে, তা চীন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পরবর্তী বা সম্ভাব্য পরিস্থিতির বিষয়েও বেইজিং খোঁজ-খবর রাখছে। মিয়ানমারের প্রতিবেশী এবং বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে চীন আশা করে সংবিধান এবং আইন মেনে দেশটির অভ্যন্তরীণ সব পক্ষ সঠিকভাবে তাদের বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

সোমবার সকালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই রাজধানীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। দেশটিতে ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে এসেছে। বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সেবা বন্ধ থাকলেও চালু হয়েছে সরকারি মোবাইল অপারেটর সেবা।

গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।