‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন,করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে । সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির' সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেনো জিরো হয় “।
অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪,০৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে।
“কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবেলা করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবেলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনা হবে।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, দূর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে আনতে পারলে মৃত্যুহার শূন্য হবে আশা করা যায়। যারা বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ মারা যায় নি; যারা মারা গেছে তারা গাছ চাপ পড়ে, টিনের আঘাতে।
তিনি বলেন, “কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।”
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ২৩ মে'র পর ঠিকভাবে বোঝা যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সব সদস্যদের এরমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। তারা প্রচারণা শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রোববার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখায় সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা-বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস