কিংবদন্তী পাওলো রসি'র বিদায়

কিংবদন্তী পাওলো রসি'র বিদায়

মারা গেলেন ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ী ইতালীয় ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য তথা প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা পাওলো রসি। সেই বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ব্রাজিল। ব্রাজিল  পারেনি কেবল একজন পাওলো রসি'র জন্য। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। ইতালির একটি চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে সেদেশের ফুটবল সংস্থা। 

ওই চ্যানেলে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন রসি। যদিও, মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করেনি ওই চ্যানেলটি। পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রসির মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেন প্রয়াত ফুটবলারের স্ত্রী ফেডেরিকা কাপেল্লেত্তি।

৫৬ সালে জন্ম নেয়া ফুটবলার নিজের ফুটবল জীবনে জুভেন্তাস থেকে শুরু করে কোমো, ভিসেঞ্জা, পেরুজিয়া, মিলান ও হেলাস ভেরোনায় খেলেছেন স্ট্রাইকার পাওলো রসি। ১৯৮৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হিসেবেই। আজুরিদের হয়ে ৪৮টি ম্যাচে ২০ গোল করেন রসি। এরমধ্যে যোগ্যতা-নির্ণায়ক পর্বে ছিল ৬টি। বাকিগুলো স্পেনে হওয়া মূলপর্বে।

তার হ্যাটট্রিকের দৌলতে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারায় ইতালি। সেই ম্যাচ চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তার জোড়া গোলে সেমিতে পোল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে একটি গোল করেন। ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।

এর দৌলতে ১৯৮২ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট জেতেন রসি। যা ইউরোপীয় সেরা ফুটবলারকে দেওয়া "বালন ডিআর" পুরস্কারের সমান।

ঘরোয়া লিগেও শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ রেখে গিয়েছেন রসি। ১৯৭৭-৭৮ সালে সিরি-আ লিগে ২৪ গোল করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে জেতেন কাপ উইনার্স কাপ। ১৯৮৪-৮৫ সালের উয়েফা সুপারকাপ, ১৯৮৫ সালে জুভেন্তাসের হয়ে ইউরোপীয় কাপ এবং ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে জুটি সিরি আ শিরোপা।

গত মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আর্জেন্তিনার কিংবন্তী বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। তার ঠিক দুসপ্তাহ পরই মারা গেলেন ফুটবলের আরেক কিংবদন্তী বিশ্বকাপজয়ী।