আইসিইউ ফাঁকা নেই রাজধানীর ৫ কোভিড হাসপাতালে

করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নেই রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে এই তথ্য। এই অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এই পাঁচটি হাসপাতালের সবগুলো আইসিইউ শয্যাই রোগী ভর্তি আছে।

আইসিইউ ফাঁকা নেই রাজধানীর ৫ কোভিড হাসপাতালে

করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নেই রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে এই তথ্য। এই অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এই পাঁচটি হাসপাতালের সবগুলো আইসিইউ শয্যাই রোগী ভর্তি আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোতে এখনো কিছুটা বেড ফাঁকা থাকলেও সেটা ক্রমেই রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আর সংক্রমণ এইভাবে বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ২৬ শয্যা, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ শয্যা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ শয্যা, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ শয্যা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ শয্যার সবগুলোতেই রোগী ভর্তি রয়েছে।

উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড অন্য হাসপাতালগুলোর আইসিইউ শয্যায় রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ আইসিইউ বেডের মধ্যে ৮টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬টি বেডের একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের ২টি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের ৪টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে ৩টি এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১০২টি বেড।

সেই সাথে রাজধানীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত ১৬টি হাসপাতালে মোট ৩৮৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে ১২৭টি বেড।

অপরদিকে রাজধানীতে বেসরকারি ২৮টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৪৪১টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে বেড ফাঁকা রয়েছে ২৫৫টি।

মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ৪৮২ তম দিন শেষে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ৮ হাজার ৪৮৩ জনের শরীরে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জন। 

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই দেওয়া হচ্ছে শাস্তি। গ্রেপ্তার, জরিমানার পাশাপাশি মামলাও দেওয়া হচ্ছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআর