আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়
আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকার ট্রফি জিতেছে। রবিবার সকালে মারাকানায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপার খড়া কাটায় তারা। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতলেন লিওনেল মেসি। খেলার ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলটিই শিরোপা জিতিয়ে দেয় আর্জেন্টিনাকে। মারাকানা যে ব্রাজিলের জন্য অপয়া মাঠ তা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায়। সব মিলিয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলেও ব্রাজিলকে হার মানতে হয়। ডিফেন্ডার রেনান লোদির একটি ভুলই ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়। যে কারণে ম্যাচ শেষে কাঁদতে হয় ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের। অপর দিকে মাঠে উপস্থিত অল্প কিছু সমর্থকদের সামনে উল্লাস করে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকার ট্রফি জিতেছে। রবিবার সকালে মারাকানায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপার খড়া কাটায় তারা। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতলেন লিওনেল মেসি। খেলার ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলটিই শিরোপা জিতিয়ে দেয় আর্জেন্টিনাকে। মারাকানা যে ব্রাজিলের জন্য অপয়া মাঠ তা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায়। সব মিলিয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলেও ব্রাজিলকে হার মানতে হয়। ডিফেন্ডার রেনান লোদির একটি ভুলই ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়। যে কারণে ম্যাচ শেষে কাঁদতে হয় ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের। অপর দিকে মাঠে উপস্থিত অল্প কিছু সমর্থকদের সামনে উল্লাস করে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে উভয় দলের শুরুটা ছিল বেশ সতর্কতার সাথে। আর্জেন্টিনার বিশেষ কৌশল ছিল নেইমারকে যে কোনভাবে রুখে দেয়া। যে কারণে তিনি বল পেলেই তাকে ঘিরে ধরে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। সে তুলনায় মেসি অনেক বেশী খালি জায়গা পেয়েছেন মাঠে। তাকে বিশেষ ভাবে পাহারা দেয়নি ব্রাজিল। মেসি অবশ্য ফাইনাল খুব একটা ভাল খেলতে পারেননি। এমনকি তিনি গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল মারতে পারেননি। অবশ্য আগের ম্যাচগুলোতে বেশ ভাল খেলেছিলেন তিনি। গোলের সুযোগ অপেক্ষাকৃত বেশী সৃষ্টি করে ব্রাজিলই। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তাছাড়া আর্জেন্টিনাকে জেতাতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি অন্তত দুইবার দলকে নিশ্চিত গোল খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন। ম্যাচ সেরা হন গোলদাতা ডি মারিয়া। প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক হন আর্জেন্টিনার মার্টিনেজ। সর্বোচ্চ গোলদাতা হন মেসি।
প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে নেইমারের সাথে একত্রে খেলা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ২১ মিনিটের সময়ে গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। তিনি অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে বল নিয়ে গিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষক এডারসনে মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান। ডি পলের লম্বা পাসের বল রেনান লোদিকে এড়িয়ে নিয়ন্ত্রনে নিয়েছিলেন ডি মারিয়া। গোল খাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে ব্রাজিল সেটি পরিশোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে। যে কারণে তাদের কিছুটা প্রাধান্য স্থাপিত হয়। কিন্তু খেলা চলতে থাকে আগের মতোই ফাউলের পর ফাউল করে উভয় দলই। ল্যাতিন আমেরিকান ফুটবল মানে ছন্দময় ফুটবল, তা অন্তত এ ম্যাচ দেখে বলা যাবে না। আর্জেন্টিনার সমর্থকরা হয়তো গোলের কারণে সন্তুষ্ট। কিন্তু ভাল ফুটবল দেখার যারা আশা করেছিলেন প্রথমার্ধের খেলা তাদের হতাশ করেছে। আর্জেন্টিনা তাদের কৌশল বদল করে গোলটি ধরে রাখার চেষ্টা শুরু করে। বিশেষ করে নেইমারকে তারা রাখে কড়া পাহারায়। তার কাছে বল গেলেই অন্তত তিনজন খেলোয়াড় তাকে ঘিরে ধরে বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। যে কারণে তিনি প্রথমার্ধে অন্তত বিপজ্জনক কোন কিছু করতে পারেননি।
ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্রেডকে তুলে মাঠে নামায় রবার্তো ফিরমিনোকে। ফিরমিনো আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। ব্রাজিল যে আক্রমণত্মক খেলার চেষ্টা করবে তা বোঝা যায় খেলোয়াড় বদল করা থেকেই। ৫২ মিনিটে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুর দিকে তিনি অফসাইড পজিশনে থাকায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। ৫৪ মিনিটে রিচালিসনের শট বাচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ। মাঠে অনেকটা অকার্যকর এভারটনকে তুলে ব্রাজিল মাঠে নামায় ভিনিসিয়ুসকে। অপর দিকে লে সেলসোকে তুলে নামানো হয় টাগলিয়াফিকোকে। শেষ দিকে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তাদের ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় আর্জেন্টিনা। এ সময় ফাউল করার প্রবনতা আরও বেড়ে যায়। রেফারিকে বাধ্য হয়ে হলুদ কার্ড দেখাতে হয় কয়েকটি। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে দু দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। ৮৭ মিনিটে মেসি অবিশ্বাস্য একটি মিস করেন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একেবার হ্যান্ডশেকিং দূরত্বে বল পেয়েও ঠিক মতো শট মারতে পারেননি। এর পর পরই গ্যাবির দুরন্ত ভলি বাচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ।