নিজ বাড়ী নিয়ে অসহায় প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে
ধুলাই শেখ! এক যুগের বেশী প্রবাস জীবন যাপন করছেন। এখনো আছেন সৌদি আররে। সংসারের ভাগ্য ফেরানোর জন্য ১০ বছর আগে নিজে জমানো টাকায় জমি কেনেন বাড়ী করার জন্য, স্ত্রী আর মেয়েরা সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্ত সেই জামি কেনাই কাল হয়ে গেল তার স্ত্রীর। তার স্ত্রী বাড়ী করলেও সেখান থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে জমির বিক্রেতা ও তার শরিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মাঝপাড়ায়।
ধুলাই শেখ! এক যুগেরও বেশি প্রবাস জীবন যাপন করছেন। এখনো আছেন সৌদি আররে। সংসারের ভাগ্য ফেরানোর জন্য ১০ বছর আগে নিজের জমানো টাকায় জমি কেনেন বাড়ী করার জন্য, স্ত্রী আর মেয়েরা সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্ত সেই জামি কেনাই কাল হয়ে গেল তার স্ত্রীর। তার স্ত্রী বাড়ী করলেও সেখান থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে জমির বিক্রেতা ও তার শরিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মাঝপাড়ায়।
ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর করে জখম করেছে এবং স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় তিনি মেহেরপুর আদালতে মামলা করেছেন বিবাদী শরিকদলের বিরুদ্ধে। কিন্ত তাতেও নেই কোন প্রতিকার।
জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই প্রতিবেশি দুলাল ফকিরের ছেলে আজমত আলীর কাছ থেকে চলাচলের রাস্তা দেওয়ার শর্তে এই জমি কেনেন প্রবাসীর পরিবার। এরপর তারা বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এখন তাদের উৎখাত করে জমি ফেরত পাবার আশায় তাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্রেতা।
এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদি হয়ে দুলাল ফকিরের ছেলে জমির বিক্রেতা আজমত আলী সহ দুলাল ফকিরের পরিবারের মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ করেছেন।
এর আগে তিনি মুজিবনগর থানায় অভিযোগ করেন। থানা কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে ডেকে আপস করতে ব্যর্থ হন। গ্রামের লোকজনও চলার পথটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এদিকে আদালতে মামলার পর তার বাড়িতে হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় আদালতের আদেশ পেয়ে মুজিবনগর থানা ১ম ও ২য় পক্ষকে ডেকে নালিশী জমি নিয়ে যাতে কোন প্রকার শান্তি ভংগ না হয় তার নির্দেশ দেন।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্তা (ওসি) আব্দুল হাশেম বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারসহ ঘটনাস্থলে যাই ও উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।