মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নেবেন মমতা

গেরুয়া (বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টি) শিবিরকে ধরাশায়ী করে আগামী বুধবার রাজ্যপালের কাছে তৃতীয় বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নেবেন মমতা

গেরুয়া (বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টি) শিবিরকে ধরাশায়ী করে আগামী বুধবার রাজ্যপালের কাছে তৃতীয় বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীরর কাছে হেরেও তিনি তৃতীয়বারের মত নবান্নের মসনদে আসীন হতে চলেছেন। যদিও তিনি নন্দীগ্রামের পরাজয় এখনো মেনে নেননি। ভোট পূনর্গণনার জন্য তিনি আদালতে যাওয়ার বার্তা দিয়ে রেখেছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভূতপূর্ণ বিজয় উল্লাসে আবির রঙে ভাসছে পুরো পশ্চিমবঙ্গ। 

ভারতের একেক রাজ্যের সংবিধান ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল হলেন সাংবিধানিক অধিকর্তা। বিধানসভা নির্বাচনে যে দল বা মোর্চা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে সেখান থেকে একজনকে বিধানসভার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন রাজ্যপাল। সেই হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১৩ আসনের বিশাল বিজয়ে এটা বুঝতে কারো বাকি ছিল না যে তৃতীয়বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

কালীঘাটে রোববার নির্বাচনের চুড়ান্ত ফলাফল হাতে পেয়ে উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে মমতা হাত নেড়ে বলেছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। এই বাংলা যে পারে সেটা আবারও প্রমাণ করায় সকল জনগণকে তিনি ধন্যবাদ জানান। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি সবাইকে বিজয় মিছিল না করার জন্য অনুরোধ করেন। বিজয়ী হওয়ার পর তার প্রধান বক্তব্যই ছিল কোভিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে তার সরকার। 

রোবার কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনের পর তৃণমূল কার্যালয়ে পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়ী বিধায়করাও। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, পরিষদীয় দলের নেতা হচ্ছেন মমতা।

পার্থ আরও জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৫ তারিখ শপথ নেবেন মমতা। তার পরে ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বাকি বিধায়করা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধানসভার স্পিকার হবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।