লকডাউন : সড়কে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহন বেশি
করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে দু’দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে চলাচল। আজ সকাল থেকেই রাজধানীবাসীর অফিসগামী মানুষের তুলনায় সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা বেশি।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে দু’দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে চলাচল। আজ সকাল থেকেই রাজধানীবাসীর অফিসগামী মানুষের তুলনায় সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যার আধিক্য বেশি।
বুধবার সকালে আবারও বর্ধিত ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে গণপরিবহন। রাজধানী মিরপুর, কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও প্রেসক্লাব এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
বিকল্প পরিবহনের যাত্রী মো. শাজাহান বলেন, আমি বাসে উঠেছি আগারগাঁও-তালতলা এলাকা থেকে। আজকে আমি মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বাস পেয়েছি। আশা করছি মতিঝিল যেতে বেশি সময় লাগবে না। গত দুই দিন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে সিএনজি ও রাইডশেয়ারিং মোটর সাইকেলে জন্য। পাওয়া গেলেও ভাড়া নিয়েছে বেশি। একটু বেশি ভাড়া নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন।
বিকল্প পরিবহনের এক চালক বলেন, আজকের সড়কে অন্য দিনগুলোর তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। যাত্রীদের চাপ যদি কম থাকে তাহলে মালিকরা সড়কে বাস কম নামাবেন। যাত্রী কম আর বেশিতে আমাদের কোন সমস্যা নেই, মালিকের গাড়ি চালাই। গাড়ি চললে আমাদের বেতন হবে।
প্রজাপতি পরিবহনের যাত্রী সাজিদ হোসেন বলেন, আমার অফিস উত্তরা। আজকে আমি সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে পারবো। বাসের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। বাড়তি ভাড়া ও এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে বাস। এক কথায় বলা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গণপরিবহন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ পরিবহনে ছিলনা।
গতকাল ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস চালু থাকবে।
তবে, দূরপাল্লার গণপরিহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলবৎ রয়েছে।