‘পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কি না সে সিদ্ধান্ত বাইডেনের নয়’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন। বাইডেনের মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি বাইডেনের সিদ্ধান্ত নয়, কাকে প্রেসিডেন্ট বানাবে সেটি ঠিক করবে রাশিয়ানরাই।

‘পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কি না সে সিদ্ধান্ত বাইডেনের নয়’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন। বাইডেনের মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি বাইডেনের সিদ্ধান্ত নয়, কাকে প্রেসিডেন্ট বানাবে সেটি ঠিক করবে রাশিয়ানরাই।

পোল্যান্ডে দুদিনের সফর শেষে শনিবার (২৬ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে না এবং এরপর পুতিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে বাইডেন ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলে আসছেন বলে অভিযোগ মস্কোর।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কসাই বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পোল্যান্ডে ইউক্রেনের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলার পর এটাই ইউক্রেনের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাইডেনের সরাসরি বৈঠক ছিল। 

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) জি-৭ ও ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে পাড়ি দেন বাইডেন। এরপর তিনি ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড সফরে যান।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক মাস পরও হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেন সেনারা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাদের সঙ্গে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্ব অনেকাংশেই শেষ। এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ‘মুক্ত’ করার দিকে নজর থাকবে রাশিয়ার।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। টানা এক মাস ধরে যুদ্ধ চললেও এখনো বড় কোনো শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই রাশিয়ার।

সূত্র: রয়টার্স