উচ্চপদস্থদের পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার
রাজধানীর কাফরুল থেকে সরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর কাফরুল থেকে সরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের মূল হোতা শেখ হাবিবুর রহমান ওরফে এসকে হাবিব (৫৮) ও তার দুই সহযোগী মো. খলিলুর রহমান (৬২) ও মো. আবু সাইদকে (৫২)। গ্রেপ্তার হাবিবের বাড়ি বরিশালে। এছাড়া গ্রেপ্তার অপর দুইজনের মধ্যে খলিলুরের বাড়ি মাদারীপুরে এবং আবু সাইদের বাড়ি চাঁদপুরে।
শনিবার র্যাব-৪ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতা এসএসআই গ্রুপের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৪ এর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, নগদ এক লাখ টাকা, ৫ টি মোবাইল, ১৯৮ পিস ইয়াবা, প্রতারণার মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি চেক, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ২৫ টি, জন্মসনদের ফটোকপি ১০টি, সিভি একটি, চুক্তিনামা ৩ সেট, দলিলের ফটোকপি ৩ সেট, বিভিন্ন প্রকারের ভিজিটিং কার্ড ২৫০টি, ডিজিটাল সীল ২টি, ছবি ৫ টি, পাশবই ৮ টি ও ৩টি ডায়েরী উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
র্যাব জানায়, শেখ হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সুকৌশলে প্রতারণা করছিলেন। হাবিবসহ এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা শেখ হাবিবুর রহমান এসএসআই কর্পোরেশন নামে একটি সংস্থা খুলে চাকরি দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধারসহ যে কোনো কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, শেখ হাবিবের ছেলে শেখ ইমরানও বাবার মতো প্রতারণার কাজে জড়িত। এদিকে এসকে হাবিবের পুত্রবধূ ও শেখ ইমরানের স্ত্রী শারমিন আক্তার এক সময় গণভবনে কর্মরত ছিলেন। শেখ ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। পরে স্বামী ও শ্বশুরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার সঙ্গে শারমিনও জড়িয়ে যায়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস