জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন বন্ধের দাবি
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আচরণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার (আইওয়াইসিএম)। এছাড়া সংগঠনটি এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আচরণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার (আইওয়াইসিএম)। এছাড়া সংগঠনটি এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
সারা পৃথিবীতে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে #Friday for Climate #Uproot the system পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে সংগঠনটি এ দাবি জানায়। মানববন্ধনে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকারের সভাপতি সাদিয়া আফরোজসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন একটি দেশ বা অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু সেখানকার জীবিকা, জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির ওপর প্রভাব রাখে। প্রকৃতির আশীর্বাদে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৬টি ঋতু বিরাজমান। ছয় ঋতু এই দেশের কৃষি এবং সংস্কৃতি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশ বা অঞ্চলে রয়েছে প্রকৃতির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই সম্পর্ক সৃষ্টির আদিকাল থেকে।
তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রকৃতির বেশ কিছু রূঢ রূপ আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ প্রকৃতির বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা জনজীবন ও প্রাণের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝুঁকিস্বরূপ। এই দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক অসামঞ্জস্যতার মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। এই জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ প্রকৃতির ওপর অপরিকল্পিত প্রভাব বিস্তার করা। প্রতিনিয়ত পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করে যাচ্ছে মানব সমাজ। যার ফলাফল জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমগ্র বিশ্ব, বিলুপ্ত হতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। বক্তরা অনুরোধ জানিয়ে বলেন, খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশবান্ধব পণ্য, যন্ত্রাংশ ব্যবহারে নজর দিতে হবে। সমাজের সব স্তরের জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সবাইকে অংশ নিতে হবে।