তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হেফাজত নেতারা গ্রেপ্তার

হয়রানি বা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নয়, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ গোয়েন্দা সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে, তার ভিত্তিতে হেফাজত ইসলামের নেতাদের গ্রেপ্তর করা হচ্ছে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হেফাজত নেতারা গ্রেপ্তার

হয়রানি বা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নয়, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ গোয়েন্দা সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে, তার ভিত্তিতে হেফাজত ইসলামের নেতাদের গ্রেপ্তর করা হচ্ছে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের এক অক্সিজেন বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে হেফাজতে ইসলাম সম্প্রতি যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা তদন্ত করে পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে গ্রেপ্তরকৃতদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনার সঙ্গে কারা সরাসরি জড়িত, কারা নির্দেশ বা ইন্ধনদাতা তার সবকিছুর তরঙ্গ ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে। মূলত সেই ডকুমেন্টের ভিত্তিতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনের স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হয়রানি করার জন্য গ্রেপ্তার অভিযান নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেবলমাত্র যারা সহিংসতা, তাণ্ডব কিংবা নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সরকার আলেম-ওলামাদের বিপক্ষে না। কিন্তু যারা ইসলামের আড়ালে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে কেবলমাত্র তাদেরই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কেননা সরকার বা রাষ্ট্র জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হকসহ বেশ কয়েকজন হেফাজত নেতা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। যেসব তথ্য প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে এসেছে তাতে মনে হচ্ছে এর পেছনে রাজনৈতিক দল আছে। যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্রে হেফাজতকে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিপ্রায়ে এ কাজ করেছে। তবে তাদের সে চিন্তা বা পরিকল্পনা কোনদিনও সফল হতে দেওয়া হবে না। কেননা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক আছে। প্রয়োজনে যারা এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি ভেতরে রেখে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি ইসলামী সংগঠন। যেখানে দেশের আলেম ওলামারা সংযুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি এ সংগঠনটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে হেফাজতের পুরো আলেম-ওলামারা এর সঙ্গে জড়িত তা নয়, এর সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন জড়িত যাদের সঙ্গে ইসলামী সমমনা দল ও একটি মূল ধারার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন রকম বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস