নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ফিরলেন মুশফিক-লিটন-বিপ্লব
প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত ১৯ সদস্যের স্কোয়াডে মুশফিক-লিটনের পাশাপাশি দলে ফিরেছেন লেগ-স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত ১৯ সদস্যের স্কোয়াডে মুশফিক-লিটনের পাশাপাশি দলে ফিরেছেন লেগ-স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দলে ছিলেন না মুশফিক-লিটন ও আমিনুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের দলে ছিলেন তারা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে জিম্বাবুয়েতে সিরিজের কিছু অংশ মিস করেছিলেন তারা।
অসুস্থ বাবা-মা’র সাথে থাকার কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলার পরই দেশে ফিরে আসেন মুশফিক। আর শ্বশুরের অসুস্থতার কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরেন লিটন। বাবা মারা যাওয়ায় জিম্বাবুয়ের সিরিজে কোন ম্যাচ খেলার আগেই দেশে ফিরেছিলেন বিপ্লব।
এই তিনজনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলার ইচ্ছা ছিলো মুশফিকের। কিন্তু জৈব-সুরক্ষা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কঠোর নিয়মের মারপ্যাচে সিরিজটি মিস করতে বাধ্য হন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত সিরিজটি বাংলাদেশ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল। যে কোন ফরম্যাটে এটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দলে জায়গা ধরে রেখেছিলেন মিঠুন। কিন্তু সিরিজে কোন ম্যাচ খেলেননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এই দলেরও সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে বিশ্বাস করেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি, আমরা দেশের মাটিতে শক্তিশালী দল। যদি খেলোয়াড়রা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই পারফরম্যান্স করতে পারে, তাহলে আমাদের পক্ষেই থাকবে।’
তবে বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার প্রধান কারন ব্যাটসম্যানদের ফর্ম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে কেউই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি। ব্যাটিংএর জন্য উইকেট কঠিন ছিলো। তবে মুশফিকের উপস্থিতি দলের ব্যাটিংকে শক্তিশালী করতে পারে।
ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও, বোলাররা ভালো অবস্থায় ছিলেন। বিশেষভাবে দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। স্পিন বিভাগে নিজের সেরা ঢেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আর শেষ পর্যন্ত আরও একবার সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।
আগামী ২৪ অক্টোবর ঢাকায় আসবে নিউজিল্যান্ড। এরপর তিন দিন রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে তারা। ইতোমধ্যে সূচি থাকা, অনুশীলন ম্যাচ না খেলার সিদ্বান্ত নিয়েছে তারা। তাই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়ে সরাসরি মাঠে নামবে কিউইরা। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজটি। পরের চারটি ম্যাচ হবে ৩, ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু হবে বিকেল ৪টায়।
বাংলাদেশ দল : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাসুম আহমেদ।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস