পরীমণি-রাজকে বনানী থানায় হস্তান্তর, মামলা দিয়ে পাঠানো হচ্ছে আদালতে

বাংলা সিনেমার গ্ল্যামার গার্ল খ্যাত আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বনানী থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। পরীমনির সঙ্গে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগীকেও সেখানে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে আজই (বৃহস্পতিবার) আদালতে পাঠানো হবে।

পরীমণি-রাজকে বনানী থানায় হস্তান্তর, মামলা দিয়ে পাঠানো হচ্ছে আদালতে

বাংলা সিনেমার গ্ল্যামার গার্ল খ্যাত আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বনানী থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। পরীমণির সঙ্গে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগীকেও সেখানে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে আজই (বৃহস্পতিবার) আদালতে পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে র‍্যাব সদরদপ্তর থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বনানী থানায়। এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আটকের বিষয়ে ব্রিফ করেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মইন।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, পরীমণি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে থানায় নিয়ে এসেছেন র‍্যাব সদস্যরা। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে মামলা করছে। মামলা শেষে তাদের আজই আদালতে পাঠানো হবে।

গতকালের (বুধবার) অভিযানে পরীমণির বাসা থেকে আটক আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের বাসা থেকে আটক সবুজ আলীকেও থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, গেল বুধবার রাতে র‌্যাব অভিযান শেষে পরীমণিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরীমণিকে। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে পরীমণি বলেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? ভাঙচুর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি। 

পরীমণি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র‍্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এরপর র‍্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমণিকে আটক করে র‌্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়।

এরপর পরীমণির পাশেই রাজের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। তার বাসায় মাদকসহ পর্নোগ্রাফি ও বিকৃত যৌনাচারের বিভিন্ন আলামত এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।