কবরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ববিতার
ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে সারাহ বেগম কবরী। মিষ্টি হাসি আর অভিনয়ের নৈপুণ্য দিয়ে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শক। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তিনি। শনিবার দুপুরে বনানী কবরস্থানের সবুজ মাটিতে সমাহিত করা হলো তাঁকে। বাদ জোহর কবরস্থান এলাকায় তাঁর জানাজা হয়। জানাজা শুরুর আগে বনানী কবরস্থানের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনয়শিল্পী ও সাবেক সাংসদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে সারাহ বেগম কবরী। মিষ্টি হাসি আর অভিনয়ের নৈপুণ্য দিয়ে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শক। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে বনানী কবরস্থানের সবুজ মাটিতে সমাহিত করা হলো তাঁকে। বাদ জোহর কবরস্থান এলাকায় তাঁর জানাজা হয়। জানাজা শুরুর আগে বনানী কবরস্থানের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনয়শিল্পী ও সাবেক সাংসদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এদিকে কবরীকে হারিয়ে শোকে ভাসছেন তার ভক্ত, সহকর্মীরা। তার স্মৃতিচারণ করে, আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনেকেই লিখছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কবরীর দীর্ঘদিনের সহকর্মী নায়িকা ববিতাও স্মৃতির জানালা খুলে দিয়েছেন। কবরীর মৃত্যুতে ভীষণ মন খারাপ তার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বিশ্বাস করতে পারছেন না, কবরী নেই! অবেগজড়িতে কণ্ঠে ববিতা বললেন, কানাডা থেকে রাজ্জাক ভাইয়ের ছেলের বউ দুঃসংবাদটা জানালো। শুনেই বুক ধরফর ধরফর করছে। একটা সেকেন্ডও আর ঘুম হয়নি। আমার বিশ্বাস ছিল কবরী আপা ফেরত আসবেন। জুয়েল আইচ, আবুল হায়াত সাহেবরা ফেরত এসেছেন। আমার ধারণা ছিল কবরী আপাও করোনা জয় করে ফিরবেন। শরীরটা একদম ভালো লাগছে না। ভীষণ মন খারাপ। আল্লাহ কবরী আপাকে বেহেশত নসীব করুন দোয়া করি।'
সর্বশেষ দুইটা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন কবরী-ববিতা। যখন কথা হচ্ছিল তখন সিনেমা দুটির নাম মনে না করতে পারলেও শুটিংয়ের সেই স্মৃতি মনে পড়ছে ববিতার।
তিনি বললেন, 'এক সাথে অনেক গল্পগুজব করে শুটিং করতাম। কত স্মৃতি! বলে শেষ করতে পারবো না। রাজ্জাক ভাই যেদিন মারা গেলেন এফডিসিতে গেলাম তাকে দেখতে। সেদিনই কবরী আপার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। তারপর আর দেখা হলো না। রাজ্জাক আর কবরীর শেষ দেখার সেই স্মৃতি আজও চোখে ভাসছে আমার। কোনোদিন ভুলবো না। রাজ্জাক-কবরীর মতো কালজয়ী জুটির কথাও এদেশের মানুষ কখনোভুলবে না বলে আমার বিশ্বাস।'
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতির চর্চাকে সঙ্গী করে। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। তারপর টেলিভিশন ও সবশেষে আসেন সিনেমায়।
কবরী ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন মাত্র ১৪ বছরে। ব্যক্তিজীবনে কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সে দাম্পত্যজীবন ভেঙ্গে যায়। পরে ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী ছিলেন পাঁচ সন্তানের জননী।
প্রকৌশল নিউজ/ শা