ভারতে আবারও মৃত্যু ৪ হাজার ছুঁই ছুঁই
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে গত কয়েকদিন দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের নিচে নেমে যাওয়ায় আশার আলো দেখেছিল দেশটির নাগরিকরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে গত কয়েকদিন দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের নিচে নেমে যাওয়ায় আশার আলো দেখেছিল দেশটির নাগরিকরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। শনাক্তের সংখ্যার দিক থেকে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। শুক্রবার (৭ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগী ২ কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮ জন। আর মোট মৃত্যু ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩ জন। সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। শুধু এ রাজ্যেই মোট আক্রান্ত প্রায় ৫০ লাখ। আর মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৭৩ হাজার মানুষের।
গত বুধবার (৫ মে) ভারতে রেকর্ড ৪ লাখ ১২ হাজার ২৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তার আগে দেশটিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল), ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন।
গত মঙ্গলবার ভারতে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সোমবার (৩ মে) শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২২৯ জন। রোববার (২ মে) শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি রোগী। শনিবার (১ মে) শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৯২ হাজারের বেশি রোগী।
দেশটিতে এখন সক্রিয় করোনা রোগী প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ। দেশটির গবেষকরা বলছেন, গেল দুসপ্তাহের পর্যবেক্ষণ অনুসারে ভাইরাসটি সবচেয়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত সক্রিয় পর্যটন নগরী গোয়ায়। সেখানে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে করোনা। এরপরই রয়েছে নয়াদিল্লি। রাজধানীতে ২১ শতাংশ পর্যন্ত সক্রিয় ভাইরাসটি।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, জরুরিভিত্তিতে দিল্লিকে সাতশ টন অক্সিজেন সরবরাহ করতেই হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গ। গবেষকরা বলছেন, রাজ্যটিতে মাত্র শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের কারণেই দ্রুত ছড়িয়েছে ভ্যারিয়েন্টগুলো।
প্রকৌশল নিউজ/সু