সৃজনশীল অর্থনীতিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনে সংসদে প্রস্তাব গৃহিত
ইউনেস্কো-বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনেস্কো-বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন এবং ৭১ বিধির কার্যক্রম স্থগিত করে আইন প্রণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এর পরই সংসদ কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।
সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি হচ্ছে, ‘ইউনেস্কো- বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্যা ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরও আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন, সরকারি দলের বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ, কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়সিকা আয়শা খান, কাজী নাভিল আহমেদ, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক চুন্নু, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, পীর ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান খান মেনন এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এ পুরস্কার প্রবর্তন করে শুধু আমাদের জাতির পিতাকে না গোটা বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে সম্মানিত করেছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে গৌরবান্বিত করা হয়েছে।
তিনি সমজনশীল অর্থনীতিতে অবদনের স্বীকৃতিতে এ পুরস্কারের বিষয় উল্লেখ করে এখাতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি তৎকলীন পশ্চিম পাকিস্তান আর বাঙালীদের মধ্যে অর্থনৈতিক বিরাট ব্যবাধান দূর করতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া এ জাতির মুক্তির সনদ খ্যাত ৬ দফাকে এ সৃজনশীল অর্থনীতির একটা দলিল বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও আমু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ পুরস্কার প্রবর্তনের পটভূমি উল্লেখ করে ইউনেস্কোর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউনেস্কো এর আগে বাঙালির ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করে।
আলেচনায় তিনি মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পররাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের বিবরণ তুলে ধরেন। সুত্র-বাসস।