‘১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’ দাবি আল-মুসলিম গ্রুপের এমডি’র
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে জমা পরা অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে আল-মুসলিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দাবি করেছেন, ‘১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে জমা পরা অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে আল-মুসলিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দাবি করেছেন, ‘১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ ও তার প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে আল-মুসলিম গ্রুপের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
আল-মুসলিম গ্রুপের এমডি শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠান ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের সাথে জড়িত। এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আল-মুসলিম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ.কে.এম নীট ওয়্যার লি: এর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ দুদকে জমা পরার বিষয়ে তিনি বলেন, দুদক একটা স্বাধীন সংস্থা। তারা যে কোন লোকের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের রিপোর্ট পেতেই পারে। তারা তল্লাশী করতেই পারে। আমরা তাদেরকে নির্দিষ্টভাবে ব্যাংকের নাম, কাস্টমস, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাগজ দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া কোন গার্মেন্টেসের মালিক আমদানি ও রপ্তানী করতে পারবে না। আমাদের যে লিয়ন ব্যাংক আছে এই ব্যাংকগুলোর সাথে আপনারা যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবেন। আপনারা কাস্টমসে গিয়েও চেক করতে পারেন।
আল-মুসলিম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ.কে.এম নীট ওয়্যার লি: এর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের একটাই অনুরোধ যে যাচাই-বাছাই না করে একজনকে তো খারাপ বলা যায় না। আমার বিরুদ্ধে, আপনার বিরুদ্ধে কারো না কারো বিরুদ্ধে যে কোন লোক যে কোন ধরনের স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কমপ্লেইন করতেই পারে। কিন্তু কমপ্লেইন করা আর রিপোর্ট (সংবাদ) করা এক নয়, এতে করে আমার একার ক্ষতি হবে না। তাতে করে ১৮ হাজার পরিবারের ক্ষতি হবে, এই দেশের ক্ষতি হবে। আমি যে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবো সেটাও পারবো না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন প্রশ্ন করেন, দুদকের দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন তারা অন ক্যামেরায় (টেলিভিশনের সংবাদে) অভিযোগ করেছেন, আপনার বিরুদ্ধে ১৭৫ কোটি পাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি ?
এই প্রশ্নের জবাবে শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধেই দোষারোপ করবো না। আবার না করেও পারছি না। আমি জানি না কে আমার বিরুদ্ধে কমপ্লেইন দিয়েছে। আমরা শুধু দুদকের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে, ‘আমরা এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স করিনি। আমরা কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছি। আপনাদের কারও নাম একা না।’। আমি কারও দোষারোপ করবো না। আপনাদেরকে প্রুভ (প্রমাণ) দিয়েছি। আপনারা সব জায়গায় তদন্ত করেন। আমি যদি বিদেশে মাল পাচার করি এখানে তো ভ্যাট ছাড়া আমার কোন ভাবেই টাকা পাচার করা সম্ভব না। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকই আমার সাক্ষী।
সংবাদ সম্মেলনে আল-মুসলিম গ্রুপের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন এইম. এম আমজাদ হোসেন (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), মোঃ কাউছার মিয়া (নির্বাহী পরিচালক), মোঃ মনির উদ্দিন পাটোয়ারি (পরিচালক) ও মোঃ ফিরোজ আহমেদ (মহা ব্যবস্থাপক)।
প্রকৌশল নিউজ/এমআর