চাঁদাবাজীর তথ্য ফাঁস করায় ওসির লুটপাট ও নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক
চাঁদাবাজীর তথ্য ফাঁস করায় রাতের আধাঁরে গেট ভেঙ্গে মারধর করে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, প্রাইভেটকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে থানায় নির্যাতন চালিয়ে ১০টি মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
চাঁদাবাজীর তথ্য ফাঁস করায় রাতের আধাঁরে গেট ভেঙ্গে মারধর করে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, প্রাইভেটকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে থানায় নির্যাতন চালিয়ে ১০টি মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. ইফতেখার আহমেদ বাবু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ওসি নিজের অপরাধ ঢাকতে দিনাজপুর জেলার এসপি ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা-বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছে। এক্ষেত্রে সে ভুয়া মামলা ও মিথ্যা সংবাদের কপি সরবরাহ করে তাদের দৃষ্টিতে তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে তাদের কাছে বিচার চাইতে যেতে পারছেন না। ওসির অনিয়ম ও চাঁদাবাজীর তথ্য ফাঁস করার পর গত ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টায় ওসির নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন পুলিশ সদস্য ও তাদের ৫/৬ জন সোর্স তার বাড়ীতে হাজির হয়। কোনো ধরণের কাগজপত্র ছাড়াই তারা ৩টা গেট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং ঘরে থাকা ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, প্রায় ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে থানায় নিয়ে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে মোবাইলে থাকা চাঁদাবাজী ও অনিয়মের ফুটেজ ডিলেট করে দেয়। পরদিন সকালে তার স্ত্রীর গাড়ীর বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ওই গাড়ী চুরির মামলা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ৬ দিনে ৯টি মিথ্যা মামলার আসামী বানানো হয়।
তিনি আরো জানান, মোট ১২৯ দিন জেল খাটার পর গত ৫ এপ্রিল ৯টি মামলায় জামিনে বের হয়ে জানতে পারেন তার গাড়ী ও ৫টি মোবাইল পুলিশের কাছে রয়েছে। কিন্তু টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। যা পুলিশ ওই রাতে নিয়ে গেলেও তা পরবর্তীতে কোথাও উল্লেখ করেনি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হলেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ওসি মামলার কাগজে লিখেছে। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও ওসির চাঁদাবাজীর তথ্য ফাঁস করার পর একের পর এক মোট ১০টি মিথ্যা মামলার আসামী বানানো হয় তাকে।
পুলিশ প্রধানের কাছে ওই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আজ মিথ্যা মামলার আসামী হতে হয়েছে। বর্তমানে ওসি ও তার লোকজন নতুন করে মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবী জানান তিনি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস