প্রবাসীর ইমু নাম্বার হ্যাক করে রিক্সাচালক থেকে বড়লোক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমু নাম্বার হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

প্রবাসীর ইমু নাম্বার হ্যাক করে রিক্সাচালক থেকে বড়লোক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমু নাম্বার হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতের নাম- মো. মাসুদ রানা (২৭)। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৯ টি মোবাইল ও ২১ টি সীম উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইতালি প্রবাসি মো. রেজুয়ান কবির সাকিব এর ইমু আইডি হ্যাক করে তার মায়ের নাম্বারে ম্যাসেজ পাঠায় গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ। সে ম্যাসেজে লেখে রেজুয়ানকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

পুলিশ হেফাজত হতে মুক্ত করতে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। এই মর্মে সে ৫ টি বিকাশ নাম্বার দিয়ে সেই নাম্বারে টাকা পাঠাতে বলে। উপায়ান্তর না পেয়ে দ্রুত উক্ত নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ছেলের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ কাফরুল থানায় মামলা হয়। মামলা রুজুর পর গোয়েন্দা অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে।

অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান সনাক্ত করে গত ৮ জুন রাতে নাটোর জেলার লালপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে মর্মে গোয়েন্দা এই কর্মকর্তা জানান।

তিনি আরো বলেন, বছর খানেক আগে মাসুদ রানা রিক্সা চালিয়ে ও শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু বর্তমানে ইমু হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করাই তার মূল পেশা। বর্তমানে তার চালচলন ও বাড়িতে নির্মিত দালান বাড়ি দেখলেই বুঝা যায়। তার গ্রাম বাসিরাও তার হঠাৎ করে ধনী হয়ে যাওয়ায় বেশ অবাক। তার নামে একাধিক প্রতারণার মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস