মালিবাগে বজ্রপাতে দুই শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীতে ভারি বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলে আব্দুল হক (৬৫), ঝুমা (১২) ও সাবিনা ওরফে পাখি (১০)।
রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীতে ভারি বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলে আব্দুল হক (৬৫), ঝুমা (১২) ও সাবিনা ওরফে পাখি (১০)।
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, দুপুরে ভারি বর্ষণে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের পিছনে সোনা মিয়ার গলি হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। সোনা মিয়ার গলিতে ৩২/বি/৬ নম্বর টিনশেড বাড়িতে আব্দুল হক ভাড়া থাকেন। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে খেলা করছিল পাখি। এসময় বজ্রপাতে পানিতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। ওই সময় তার সঙ্গে খেলা করা ঝুমা নামে আরেকটি শিশুও অনুুরূপভাবে পানিতে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। ওই সময় আব্দুল হক ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আশেপাশের লোকজন চেষ্টা করে তিনজনকে উদ্ধার করে।
এদের মধ্যে পাখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আর আব্দুল হক ও ঝুমাকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান আগেই মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরো জানান, মৃত শিশু সাবিনার মা কুলসুম বেগম থানায় জানিয়েছেন যে বজ্রপাতে তার মেয়ে মারা গেছে।
সাবিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় তার বাসার সামনে কয়েকটি শিশু ভিজছিল। এ সময় হঠাৎ সাবিনা অচেতন হয়ে পড়ে।
সাবিনার মা কুলসুম আক্তার জানান, বৃষ্টির সময় সাবিনা ও ঝুমাসহ কয়েকটি শিশু পানিতে ভিজে খেলছিল। তার ধারনা, বিদ্যুতায়িত হয়ে যাওয়া পাশের টিনের ঘরের স্পর্শে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সাবিনা অচেতন হওয়ার পর জুমা তাকে ধরতে গেলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর আব্দুল হক নামের ওই বৃদ্ধ শিশু দুটিকে উদ্ধার করতে গেলে গেলে তিনিও জ্ঞান হারান।
সাবিনার বাবা মোহাম্মদ মহসিন রিকশা চালান। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্জারামপুরে। ঝুমার বাবার নাম জাবেদ। সিলেটের সালিহা বড়বাড়ি গ্রামে তাদের বাড়ি। আর আব্দুল হক সোনা মিয়ার গলিতে টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
গুলশান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু :
গুলশানে আরকে স্কয়ার প্রপার্টি প্রাইভেট লিমিটেডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন আলম মোল্লা (৩৮) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃতু হয়েছে। শনিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে অচেতন অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের সহকর্মী শামসুল ইসলাম জানান, গুলশানে আরকে স্কয়ার প্রপার্টিজের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় পানির মোটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে রুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস