কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: মকবুল হোসেন উক্ত মাদ্রাসার ২৯ শতক জমি নিজের নামে দেখিয়ে তা ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: মকবুল হোসেন উক্ত মাদ্রাসার ২৯ শতক জমি নিজের নামে দেখিয়ে তা ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা ষ্ট্যান্ডিং শিক্ষা কমিটির সভাপদি মো: জালাল উদ্দিন মন্ডল ওই সুপারের বিরুদ্ধে জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আসাদুজ্জামানকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মার নির্দেশে গত ২৫/০৮/২০২১ ইং তারিখে তদন্ত হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার জমি বিক্রিসহ মাদ্রাসার সুপার উক্ত মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ কমিটি গঠনের অনিয়ম করেছেন তিনি। এছাড়া জামায়াতে ইসলামের রোকন ও পাথরডুবি ইউনিয়ন কমিটির আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জঙ্গি ও নাশকতা মামলায় জেল খেটে জামিনে রয়েছেন। যার মামলা নং- জি. আর ৪৮/২০১৭।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: মকবুল হোসেন বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য কমিটির সিদ্ধান্তে উক্ত জমি বিক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। 

অভিযোগকারী মো: জালাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, মইদাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসার নামীয় জমি নিজ নামে দেখিয়ে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও মাদ্রাসা তহবিলের টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম করে চলেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আসাদুজ্জামান জানান, তদন্ত শেষ হয়েছে। করোনার কারণে প্রতিবেদন দিতে দেরি হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।