চারদিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ডাকুয়া
চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মো: মাহামুদ ডাকুয়া (১৯)। গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের বাণিজ্য বিতান সুপার মার্কেটের ‘রাসেল বুক এন্ড প্রিন্টিং’ দোকান থেকে বিকেল ৪টার দিকে বের হয়ে আর দোকানে ফেরেনি। এমনকি বাসায়ও যায়নি।
চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মো: মাহামুদ ডাকুয়া (১৯)। গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের বাণিজ্য বিতান সুপার মার্কেটের ‘রাসেল বুক এন্ড প্রিন্টিং’ দোকান থেকে বিকেল ৪টার দিকে বের হয়ে আর দোকানে ফেরেনি। এমনকি বাসায়ও যায়নি।
এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার মাহামুদের ভাই গোলাম কিবরিয়া নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে চার দিনেও তার খোঁজ মিলাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, মাহামুদের সন্ধানে তদন্ত চলছে। আজ সোমবার এ খবর লেখা পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি মাহামুদের।
জানা গেছে, মাহামুদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল বাকেরগঞ্জের ভবানীপুরে। পিতার নাম গোলাম মোস্তফা। ঢাকায় লালবাগের আজিজ কমিশনারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে মাহামুদ ছোট। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্জি। মুখোমন্ডল গোলাকার। গায়ের রং শ্যামলা বলে জানিয়েছে পরিবার।
এদিকে চার দিন ধরে আদরের ছোট সন্তানের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পাগল প্রায় মাহামুদের মা রুনু বেগম। ছেলেকে হারিয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ তার। ছেলের শোকে চিৎকার করছেন আর বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন।
মাহামুদের মেজো ভাই রাসেল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে প্যান্ট কেনার কথা বলে এটিএম কার্ড নিয়ে বের হয়। নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটাও দোকানে রেখে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায়, বুথ থেকে টাকা তুলে এলিফ্যান্ট রোডে যাবে প্যান্ট কিনতে। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যায় কিন্তু মাহামুদ বাসায় ফিরেনি। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজন, মাহামুদরে বন্ধু-বান্ধবদের কাছে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাইনি। পরের দিন আমার আরেক ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া নিউমার্কেট থানায় জিডি করে।
তিনি বলেন, মাহামুদ খুবই শান্ত প্রকৃতির। রাসেল বুক এন্ড প্রিন্টিংয়ের দোকানটি মাহামুদই দেখবাল করতো। আমি অন্য একটা দোকান পরিচালনা করতাম। ফলে প্রিন্টিংয়ের আয়-ব্যায়ের হিসাব নিকাস ওর কাছেই থাকতো। এক প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, ওর মধ্যে কখনও এলোমেলো কিছু দেখিনি। তবে মাসখানেক আগে মিরপুরে গিয়েছিলো দোকানের কাজে সেখানে দুইজন স্মার্ট লোক মাহামুদকে ফলো করেছে।
এমনকি নীলক্ষেতেও ওই দুই লোকই ওকে ফলো করছে বলে আমায় জানিয়েছিলো। কিন্তু এরপর আর কখনও কিছু বলেনি আমায়।রাসেল জানান, ছোট ভাইকে খুঁজে না পেয়ে আমরা পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছি। রাতে বাসায় ফিরলেই মা ডেকে বলেন, রাসেল আমার মাহামুদ কই। আমার মাহামুদকে খুঁজে নিয়ে আয়। কিন্তু কি করবো কোথাও খুঁজে পেলাম না ভাইকে।
নিউমার্কেট থানার এসআই মাহফুজার বলেন, মাহামুদের সন্ধানে তদন্ত চলছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও পিবিআই তদন্ত করছে। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস