ঢাকার রাস্তা এখন ফাঁকা; চলাচলে স্বস্তি
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে কমে গেছে যানবাহনের চাপ। ফলে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়া যাচ্ছে ভোগান্তি ছাড়াই। ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে ১২ মে। তবে রাজধানীবাসী বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তাই ঈদের ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাজধানীর বড় একটি অংশই ফাঁকা। নেই সেই চিরচেনা যানজট। ব্যস্ততম শহর ঢাকা তাই কার্যত বলা যায় ফাঁকা।
মিরপুর গোল চত্ত্বর থেকে কাওরান বাজারের দুরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। এই রুটে মেট্রোরেলের কাজ চলার কারনে প্রায় সময় জ্যামে আটকে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। রুটটি অনেকেই পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মিরপুর ১৪ নম্বর-কচুক্ষেত-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও হয়ে কারওয়ান বাজারে আসেন। গত কয়েকদিন ছিল এই রুটে ভীষন জ্যাম। কিন্তু আজকের সকালটা ছিল একেবারের ভিন্ন। কোথাও কোনো জ্যাম নেই। নেই অসংখ্য গাড়ির হর্ণ। মাত্র ২০ মিনিটেই কেউ চাইলে সরাসরি চলে আসতে পারছেন কারওয়ান বাজার।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে কমে গেছে যানবাহনের চাপ। ফলে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়া যাচ্ছে ভোগান্তি ছাড়াই।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে ১২ মে। তবে রাজধানীবাসী বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তাই ঈদের ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাজধানীর বড় একটি অংশই ফাঁকা। নেই সেই চিরচেনা যানজট। ব্যস্ততম শহর ঢাকা তাই কার্যত বলা যায় ফাঁকা।
মিরপুর থেকে এসেছেন আরেক কর্মজীবী সিদ্দিকুর রহমান। কাজ করেন একটা বেসকারি কোম্পানিতে। অফিসের অনেকের ছুটি হলেও রোটেশনের কারনে তার এবার ছুটি হয়নি। তিনি বলেন, অন্য দিনের তুলেনায় আজ অর্ধেকেরও কম সময়ে আসতে পেরেছি। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে বাসে লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। আগে কম করে হলেও দেড় ঘন্টা লাগতো।
শুধু মিরপুর-কারওয়ান বাজার নয় একইভাবে গাবতলী, কুড়িল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেটসহ অন্য এলাকা থেকেও আসা-যাওয়ার সময় অনেক কমে গেছে। এসব এলাকার রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে গ্রামমুখী মানুষের কিছুটা চাপ লক্ষ্য করা যায়।
রাজধানীবাসী ঢাকা ছাড়ায় ঢাকার রাস্তায় কমে গেছে বাস চলাচলও। গাবতলী থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের মানুষ আজ ফিরছেন অনেকটা দুর্ভোগ ছাড়াই। মোবাইলে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মহিনউদ্দিন রাজুর সাথে। তিনি প্রকৌশল নিউজকে জানান, গাবতলী থেকে একটি ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে তিনি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। বেলা ২ টার আগেই তিনি পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌছে গেছেন কোনো ধরনের যানজট ছাড়াই। তবে কিছু বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে তাকে। স্বাভাবিক সময়ে ২শ টাকা দিয়েই যাওয়া যায় এই রাস্তাটুকু। কিন্তু আজ গুনতে হয়েছে ৭শ ৫০ টাকা। তবুও পরিবারের সাথে ঈদ উৎযাপন করতে বাড়িতে যাওয়ার আনন্দে খুশি তিনি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, ঢাকা শহরে বর্তমানে দুই কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। তবে ঈদ উপলক্ষে কত মানুষ ঢাকা ছাড়ে, তার নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভাষ্যমতে, ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ গ্রামে ঈদ করতে যায়। তবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করায় এবছর এত মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেনি।