ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থান বুঝে পেয়েছে সরকার
সরকার চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য মেলার নতুন গন্তব্য বুঝে নিল। রাজধানীর পূর্বাচলের স্থায়ী ভবনেই এবছরের যেকোন সময় থেকে শুরু হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এক্সিবিশন সেন্টারে সারা বছরই কোন না কোন প্রদর্শনি হবে। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকেও বছরে দুই বার মেলা আয়োজনের কথা রয়েছে।
সরকার চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য মেলার নতুন গন্তব্য বুঝে নিল। রাজধানীর পূর্বাচলের স্থায়ী ভবনেই এবছরের যেকোন সময় থেকে শুরু হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এক্সিবিশন সেন্টারে সারা বছরই কোন না কোন প্রদর্শনি হবে। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকেও বছরে দুই বার মেলা আয়োজনের কথা রয়েছে।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে ১৫ কিলোমিটার যেতেই চোখে পড়বে সুউচ্চ এই স্থাপনা। দূর থেকে দেখতে অনেকটা জাহাজ আকৃতির এই ভবন তৈরি শুরু হয় ২০১৭ সালে। টানা ৪ বছর ধরে চীনের রাষ্ট্রীয় কনস্ট্রাকশন কোম্পারি তৈরি করেছে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।
ভবন তৈরিতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা, মোট ২০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি এই স্থাপনায় সারা বছরই অনুষ্ঠিত হবে কোন না কোন আয়োজন। বাণিজ্যমেলার পাশাপাশি এখানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রদর্শনি, মেলা কিংবা সভা-সেমিনারও হবে।
করোনার জন্য আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের দিনেও ছিল না কোন বড় আয়োজন। সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ভবন হস্তান্তর করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। মহামারীর কারণে সময়মতো না হলেও অন্য সব বছর জানুয়ারি জুড়েই হবে বাণিজ্যমেলা আয়োজন, জানান টিপু মুন্সী। আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বন্ধু হয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের স্থাপনাটিতে থাকছে বিশাল আকৃতির দুটি হলরুম। যেখানে ১৫ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে নির্মাণকরা সম্ভব ৮০০ স্টল। এছাড়া বাইরের জায়গা জুড়ে থাকছে বিশাল পার্কিং এলাকা।